প্রজ্ঞা ঠাকুরের ভয়াবহ অভিযোগ: মালেগাঁও মামলায় জোরপূর্বক নাম বলানোর জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের দাবি

২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে বেকসুর খালাসের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন, তাঁকে ভয় দেখিয়ে ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে দেশের শীর্ষ নেতাদের নাম বলানো হয়েছিল। তিনি বলেন, এই চাপের মুখে তিনি লিখিতভাবে সব তথ্য দিয়েছেন। প্রজ্ঞা ঠাকুরের এই অভিযোগের পেছনে তিনি তৎকালীন ইউপিএ সরকারের ইন্ধন ও একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া শিবির ও সশস্ত্র বাহিনীকে কলঙ্কিত করা। এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ফলে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Aug 4, 2025 - 03:09
 0  2
প্রজ্ঞা ঠাকুরের ভয়াবহ অভিযোগ: মালেগাঁও মামলায় জোরপূর্বক নাম বলানোর জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের দাবি

২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই মামলায় জেল খাটছিলেন এবং পরে আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দেয়। তবে, এই মামলার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি তিনি এক ভয়াবহ অভিযোগ তুলে ধরেছেন, যা দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। প্রজ্ঞা ঠাকুরের দাবি, তাঁকে জোরপূর্বক নাম বলানোর জন্য ভয় দেখানো ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার কাছ থেকে বারবার বলা হতো — ‘এই সব নাম বলো, তাহলে আর মারব না।’ আমাকে নির্যাতন করে জোর করে নাম বলানো হতো। আমি সব লিখিতভাবে জানিয়েছি — কারা, কীভাবে আমাকে চাপ দিয়েছিল।”

প্রজ্ঞা আরও জানান, এই নির্যাতনের পেছনে মূলত তৎকালীন ইউপিএ সরকারের ইন্ধন ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছিল একটি ‘মিথ্যা মামলা’, যার পেছনে ছিল একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক চক্রান্ত। এর উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া শিবির ও সশস্ত্র বাহিনীকে কলঙ্কিত করা। তিনি বলেন, এই মামলায় দীর্ঘদিনের বন্দিদশা, মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের কথা তিনি প্রকাশ করেছেন, যা তার জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

প্রজ্ঞার এই বিস্ফোরক দাবি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই অভিযোগ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হতে পারে, যা প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।

এখন এই বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রজ্ঞা ঠাকুরের এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্তের দাবি উঠছে, যাতে এই ঘটনার পেছনের সত্যতা উদঘাটিত হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনা দেশের বিচারব্যবস্থা ও তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের অভিযোগ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের রাজনীতিতে।

সর্বশেষ, এই বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রজ্ঞা ঠাকুরের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যেখানে সত্য ও ন্যায়ের সন্ধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0
Tathagata Reporter