নারী খৎনা: মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও সচেতনতার প্রয়োজন

নারী খৎনা বা FGM নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক চলছে, যা নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে। পোপ ফ্রান্সিস এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রথা নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করছে, এবং সমাজে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

May 28, 2025 - 07:30
 0  9
নারী খৎনা: মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও সচেতনতার প্রয়োজন

নারী খৎনা বা নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতি (FGM) নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই গোঁড়া প্রথায় নারীর বাহ্যিক যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। কিছু সম্প্রদায় এটিকে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মনে করলেও, পোপ ফ্রান্সিস এটিকে "অপরাধ" ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন। nnভারতের বোহরা সম্প্রদায়সহ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও কিছু পশ্চিমা দেশের অভিবাসী সম্প্রদায়ে এই প্রথা এখনও প্রচলিত। জাতিসংঘ এটিকে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েছে। প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি "FGM-এর শূন্য সহনশীলতা দিবস" পালন করা হয়, যা এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ায়। nnনারী খৎনার পাশাপাশি, ভারতে তিন তালাক প্রথা বিলুপ্তির পর মুসলিম নারীদের আইনি অধিকার বেড়েছে, যা তাদের ন্যায়বিচারের পথ সুগম করেছে। তবে, খৎনার মতো প্রথা নারীদের শরীর ও মনে অমোচনীয় ক্ষত রেখে যায়। এটি কেবল ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, বরং মানবাধিকারের প্রশ্ন। মিশরে এই প্রথা ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ হলেও এখনও চলছে, যা প্রমাণ করে আইনি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা জরুরি। নারীর সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0
Tathagata Reporter