রণজয়ের বাড়িতে ভূতের আস্তানা? প্যারানর্মাল টিমের তদন্তে মিলল রহস্যময় ইঙ্গিত!
অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর জীবনে আচমকা ঘটে যায় এমন কিছু ঘটনা, যা তাঁকে কেবল ভীতই করেনি, বরং সোশাল মিডিয়াতেও তুলেছে ঝড়। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো, শরীর খারাপ, আর অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা—সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে একটি প্যারানর্মাল তদন্তকারী সংস্থা। রাতভর পর্যবেক্ষণের পর ঠিক কী মিলল, সেটাই এখন চর্চার বিষয়।

সাধারণত ভূতের গল্প সিনেমার পর্দাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে সম্প্রতি অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর বাস্তব জীবনে যা ঘটেছে, তা যেন সরাসরি কোনও থ্রিলার সিনেমার অংশ!
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও, যেখানে রণজয় জানান—বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর ঘর একেবারে লন্ডভন্ড। পড়ে আছে ফটোফ্রেম, গাছের টব, ভাঙা জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়, তিনি নাকি বেশ কিছুদিন ধরেই অনুভব করছেন একরকম ভৌতিক উপস্থিতি—যা তাঁর শরীর ও মন দুটোতেই প্রভাব ফেলছে।
এই ঘটনার পরই 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' নামক একটি প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি টিম রণজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংস্থার প্রধান দেবরাজ সান্যাল ও তাঁর স্ত্রী ইশিতা দাস সান্যাল তাঁদের টিম নিয়ে রণজয়ের বাইপাসের ধারে ২৪ তলার ফ্ল্যাটে হাজির হন রাত ১০টা নাগাদ। চলে গোটা রাত ধরে তদন্ত।
প্রথমে ইএমএফ ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরে ভাইব্রেশন চেক করা হয়। যে টেবিল থেকে জিনিস পড়ে ভেঙেছিল, সেখানে রাখা হয় জলভর্তি বাটি। তবে কোনও অস্বাভাবিক কম্পনের প্রমাণ মেলেনি। রাস্তার আওয়াজ বা উপরতলার কাজকর্মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিক অনুমান।
তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তদন্ত। পরবর্তীতে ঘরের তাপমাত্রা ও এনার্জি ফিল্ড পরীক্ষা করা হয় ক্যামেরা ও সেন্সরের সাহায্যে। চমকপ্রদভাবে কিছু অসাধারণ ভাইব্রেশনের হদিশ মেলে ঘরে। এরপর রণজয় নিজে ভূতাত্মার উদ্দেশ্যে নমনীয়ভাবে বলেন—"যদি কেউ থাকেন, দয়া করে সম্মানের সঙ্গে ঘর ছেড়ে যান।"
অভিনেতার দাবি, এই মুহূর্তের পরপরই তিনি তীব্র পজিটিভ ভাইব অনুভব করেন এবং তাঁর সব ভয় কেটে যায়।
উপসংহার:
অভিনেতা রণজয়ের বাড়ির এই ঘটনা শুধু তাঁর ভক্তদেরই নয়, প্যারানর্মাল বিষয় নিয়ে আগ্রহীদের মাঝেও ব্যাপক কৌতূহল তৈরি করেছে। বাস্তবে সত্যিই কি কোনও অতিপ্রাকৃত শক্তির উপস্থিতি ছিল, নাকি সবটাই মনোবিজ্ঞানের খেলা? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই দেবে। তবে আপাতত রণজয়ের জীবনে যেন স্বস্তির হাওয়া ফিরে এসেছে।
What's Your Reaction?






