মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংক্ষিপ্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রয়ে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে, তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধাদের 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' মর্যাদা বজায় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের জন্য পাঁচটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, এমন অভিযোগের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা বদলাতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে গেছে। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশের 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' তকমা বজায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে গণ্য হবেন। যারা মুজিবনগর সরকার গঠনে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন, তারা 'মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী' মর্যাদা পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, "এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধুমাত্র যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হবেন।"
অধ্যাদেশে 'মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের' জন্য পাঁচটি শ্রেণি তৈরি করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে রয়েছেন যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে থেকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ কর্মী, আধিকারিক, রাষ্ট্রদূত, চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য পদে কর্মরতরা। তৃতীয় শ্রেণিতে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত সব এমএনএ এবং এমপিএ। চতুর্থ শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা এবং পঞ্চম শ্রেণিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
What's Your Reaction?






