উত্তর দমদমের ওল্ড বাকরা এলাকা থেকে হঠাৎ 'উধাও' একাধিক পরিবার, নেপথ্যে SIR?
উত্তর দমদমের ওল্ড বাকরার অলি-গলি যেন আজ এক নতুন আবহে কাঁপছে। রাজ্যে চলা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা—যা সংক্ষেপে SIR বলে পরিচিত—ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত পেরোিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশের দিকে পালানোর চেষ্টা করার মরার মতো জটিল ঘটনার খবর শুনিয়েছে দেশ। নির্বাচনের আগে এই ঘোষণার প্রভাব হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত জুড়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও ধরপাকড়ের খবর এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ ঘটনার প্রভাব পড়ে উত্তর দমদম পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে واقع ওল্ড বাকরায়।
সেদিন বিকেলের নরম আলো একটু কমলে, আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে তালা জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিবেশীরা বলেন, “এখানে কয়েকটি বাড়িতে আগে তালা ছিল না।” বাড়িগুলোতে আগে কেউ-না-কেউ বসতেন, কেউ ভদ্রতা করে হালকা কাজ করছেন, কেউ-বা গৃহসহায়িকার কাজ করে এনে দেন। কিন্তু আজকের দিনটি যেন বদলে গেছে। তালার আড়ালে কী ঘটছে, তা নিয়ে কথাবার্তার শুরু হলে, উত্তরের দিক থেকে শুরু হয় প্রশ্ন-যা বড় প্রশ্ন, কিন্তু সবার মুখে একসঙ্গে উঠে না।
ওল্ড বাকরা অঞ্চলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে দেখা যায়, বাড়তি তালা না থাকলে চলবে না—এমন কথা রীতিমতো শুনে থাকা যায়। “কাগজ কুড়োনোর কাজ করি,”-এভাবে নিজেদের পরিচয় জানালেন বেশ কয়েকজন মহিলা ও যুবক-যুবতী। তাদের কথায়, “এখানে আগে আমরা বছর দেড়েক ধরে থাকছি। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। এখানে ছয়টি পরিবার থাকত, এখন ছয় থেকে কমে গিয়ে দুই-তিনটি পর্যন্ত বা এর বেশি বাড়ি খালি পড়েছে। আমরা নতুন এসেছি বলে আমাদের কাছে সবকিছু ঠিক আছে—তাই তো মনে হয়, আমরা কি সঠিক পথে চলছি?” তাদের কথায় স্পষ্ট হয় পরিকল্পনা ও আতঙ্কের মিশেলে অন্যের বাড়িতে কাজ চলে যাওয়ার অভ্যাস ও বর্তমান অবস্থাকে কেমনভাবে প্রভাবিত করেছে।
একজন বাসিন্দা, যার বাবা ৪০ বছর ধরে এই ওল্ড বাকরায় বসবাস করেন বলে পরিচয় দিলেন, তিনি বলেন, “আমি গত ১৫ বছর ধরে এখানে রয়েছি। কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।” এই কথা বলে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে দীর্ঘসময় ধরে যে পরিবেশ তিনি অভ্যস্ত হয়েছেন, সেই ঐতিহ্যকে ছাড়ার কথা ভাবতে পারেননি। তবে অন্যদিকে, একজন নারী বলেন, “আমরা এখানে আটটি পরিবার ছিলাম। আমরা নতুন এসেছি। কলকাতার বর্তমান হাওয়ায় তোলপাড় হতে চায় বলে এ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি।” কথাগুলোতে স্পষ্ট হয় যে কয়েকটি পরিবার আশ্রয় নেওয়ার জন্য সেখানে এসেছে—কিন্তু তারা কাদের কাছ থেকে? কারা তাদের এখানে নিয়ে এসেছে? তাদের বিশ্বাসের জায়গা কোথায়?
“আমরা এখানে বছর দেড়েক হলো,”—এই কথাগুলো শোনা গেল এক নারী দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, “আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। এখানে ছয়টি পরিবার থাকত। এখন ছয়টির মধ্যে দু-টো পরিবার চলে গেছে। ওরা মুর্শিদাবাদে চলে গেছে।” এই কথার মধ্যে স্পষ্ট হয়, কয়েকটি পরিবারের আচমকা গমন, এবং তারা কি কারণে গিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহর বায়ু। সাধারণ মানুষের কথায়, “বাড়ি মুর্শিদাবাদে ছিল, কিন্তু কে নিয়ে গিয়েছে, কেন গেল, এসব প্রশ্নইজয়কে ঘিরে রেখেছে।”
এই কথোপকথনের মাঝে স্থানীয়দের একাংশ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাদের কথা শোনা গেল না। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্তরের রাজনৈতিক দলের সদস্যদের উপস্থিতি-সমর্থন-আভাস স্পষ্টভাবে সেখানেই দেখতে পায়। বলা হচ্ছে, “বাড়ি তালা পড়লে কেউ মুখ খুলতে চান না।” তবে একজন সদস্য বলেছেন, “এখানে আমরা দু-একজনের কথা শুনেছি। কিন্তু প্রমাণ হিসেবে কোনো কথা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”
আসলে প্রশ্ন জাগছে—এই তালাবন্ধ বাড়িগুলোতে যে ব্যক্তিরা থাকতেন, তারা কোথায় গেলেন? তারা কি মুর্শিদাবাদে ফিরে গেলেন নাকি বাংলাদেশের সীমান্তে আশ্রয় খুঁজে পেলেন? এই প্রশ্ন তাহলে কেবল স্থানীয়দের নয়, রাজ্য-জাতীয় 수준ের আলোচনার কেন্দ্রেই চলে আসে। বিশেষ করে SIR ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পাততাড়ি গুঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে বলে বিজেপির দাবি বেশ জোরালো ভাবে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মনে হয়।
তবে বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট যে, ওল্ড বাকরার বেশ কয়েকটি বাড়িতে তালা পড়ে থাকা অবস্থায়, স্থানীয়দের দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যে বড় ধরনের বিভাজন রয়েছে। Some residents claim continuity in their daily life, while others acknowledge new people, workers and families, who say they came for work and settled temporarily. Yet the common thread remains: several families, who used to live in the area, suddenly disappeared, and it raises questions about their whereabouts and the reasons behind their sudden relocation.
এই ঘটনাটি শুধু একটি neighbourhood की ঘটনা নয়; এটি একটি চিত্র যেখানে চলমান রাজনৈতিক rhetoric, border security concerns, labour mobility, এবং urban informal housing dynamics একসাথে মিশে গিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রশ্নগুলো রয়েছে—এই পরিবারেরা কি বাস্তবিকভাবে শ্রমিক হিসেবে আসতেন এবং কাজ শেষ করে মুর্শিদাবাদে ফিরে গেছে, নাকি তারা Bangladesh-এ পালানোর উদ্দেশ্যে ছিলেন? কোথায় তাদের ঠিকঠাক জায়গা হয়েছে? তাদের আইনি স্বীকৃতি কী বলছে?
অবশ্য প্রশ্নগুলোর কোনো নিশ্চিত উত্তর হিসেবে এখনও স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এলাকাটির বাসিন্দাদের ভাষ্য ও অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করে যে, বর্তমান সময়ে যারা প্রভাবিত হচ্ছেন, তারা মূলত শ্রমবাজার ও দিন-মজুর জীবনের পরিবর্তন, আর সীমান্ত-সংলগ্ন পরিস্থিতির জটিলতাকে মূর্ত করে তুলে ধরছেন। কেউ কেউ বলেন, “আমরা এখানে নতুন এসেছি, কাজের সন্ধানে।” অন্যরা বলেন, “আমি এখানে থাকার প্রয়োজনে এসেছি, কিন্তু কোথায় যাব, তা আমরা জানি না।” এবং আরও একটি কথা—“আমি এখানে থাকব, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।” এই ধরনের কথাগুলোর মধ্যেই বোঝা যায় স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা ও নিরাপত্তা নিয়ে তারা কতটা উদ্বিগ্ন।
শেষ কথা বললে, উত্তর দমদমের ওল্ড বাকরা এলাকায় তালা পড়া বাড়িগুলোর ভেতর থেকে কতজন লোক কোথায় গেছেন, তাদের পরিচয়, তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আইনি অবস্থা—এসব প্রশ্ন এখনও উত্তরহীন। তবে এjoyful tension-ভরপুর পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, SIR-ঘটিত ঘোষণার পরে কর্মসংস্থান, সীমানা-সংক্রান্ত উদ্বেগ, এবং শহর-গ্রামাঞ্চলের শ্রমবাজারে মানুষের জীবনের প্রভাবগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। বাড়ির তালা, লোকদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, এবং অপরিচিত মুখের উপস্থিতি—এসবের মধ্যেই আজ রাজ্য ও দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তর দমদমের ওল্ড বাকরা: কি ঘটছে, কেন ঘটছে, আর এর পরিণতি কী হবে—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়া প্রয়োজন, যেন আতঙ্কিত মানুষগুলোকে শান্ত রাখার এবং আইনি জবাবদিহিতাকে সঠিক পথে চালিত করার পথ বের হয়।
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0