৪৫ বছরের মা ২১ বছরের যুবককে বিয়ে করলেন, মেয়ের বিয়ে ভেঙে মায়ের পাশে দাঁড়ালেন!
৪৫ বছরের এক বিধবা মা ২১ বছরের যুবককে বিয়ে করেছেন, মেয়ের বিয়ে ভেঙে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং পরিবারের সমর্থনের মাধ্যমে সামাজিক প্রথা ভাঙার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে একটি অদ্ভুত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ৪৫ বছর বয়সী এক বিধবা মা, যিনি নিজের মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে গিয়ে ২১ বছরের যুবকের প্রেমে পড়েন, সেই যুবককে মন্দিরে বিয়ে করেছেন। মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়া সেই পাত্রকেই বেছে নিয়ে মা তার মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেন। মেয়েটি এই সম্পর্ক জানার পর মায়ের সুখকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মা, যিনি স্বামী মারা যাওয়ার পর চার সন্তানকে একা বড় করেছেন, তিন বছর আগে থেকে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছেন। মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে গিয়ে যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেয়েটি মায়ের সুখের জন্য সমর্থন জানিয়ে বলে, "মা, তুমি সুখে থাকো। আগে তুমি বিয়ে করো, আমার বিয়ে পরে হবে।"
চার দিন আগে, মেয়ে এবং যুবকের পরিবারের সম্মতিতে শাহজাহানপুরের একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর মা একা গ্রামে ফিরে আসেন, এবং এই ঘটনা স্থানীয় মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
যদিও কিছু লোক এই বিয়েকে অস্বাভাবিক মনে করছেন, তবে অনেকেই মহিলার আত্মনির্ভরশীলতা এবং মেয়ের বিচক্ষণতার প্রশংসা করছেন। এই ঘটনা সমাজে পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রমাণ করে যে পরিবারের সমর্থন থাকলে সামাজিক প্রথা ভাঙা সম্ভব।
What's Your Reaction?






